এমআরসিপি পার্ট-২ তে ডাঃ শরিফুল হালিমের বিশ্বরেকর্ড

Blog Image

যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অফ ফিজিসিয়ান্স মেম্বারশিপ (এমআরসিপি) পার্ট-২ পরীক্ষার ফলাফলে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে পাস করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ডিএমসি) সাবেক শিক্ষার্থী ডা. শরিফুল হালিম।

শুক্রবার (১২ অক্টোবর) এমআরসিপির পার্ট-২ এর লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে ১২৫৫ নম্বর পেয়ে কৃতকার্য তিনি। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

<script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-2780615577884595" crossorigin="anonymous"></script> <ins class="adsbygoogle" style="display:block; text-align:center;" data-ad-layout="in-article" data-ad-format="fluid" data-ad-client="ca-pub-2780615577884595" data-ad-slot="4123678531"></ins> <script> (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({}); </script>

জানা গেছে, সারা বিশ্বের জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় ও মর্যাদাপূর্ণ ডিগ্রি হলো যুক্তরাজ্যের এমআরসিপি। তাতে অংশগ্রহণ করেন সারা বিশ্বের জুনিয়র চিকিৎসকরা, পরীক্ষায় থাকে তুমুল প্রতিযোগিতাও। এমআরসিপি-২তে পাস নম্বর ৪৫৪, অনেক চিকিৎসক প্রথম চেষ্টায় এ মার্ক তুলতে পারেন না। আবার যারা পাস করেন, তাদের বেশিরভাগের পাস নম্বর থাকে ৫০০-৮০০ এর ঘরে। খুব কম চিকিৎসকই এমআরসিপির পার্ট-২ এর পরীক্ষায় ৯০০ নম্বরের ঘর পার করতে পারেন। এরমধ্যে এ বছর এমআরসিপির পার্ট-২তে ১২৫৫ নম্বর পেয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন ডা. শরিফুল হালিম। এটি সারা বিশ্বের জুনিয়র চিকিৎসকদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা এবং বাংলাদেশের জন্য গৌরবের একটি অর্জন।

<script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-2780615577884595" crossorigin="anonymous"></script> <ins class="adsbygoogle" style="display:block; text-align:center;" data-ad-layout="in-article" data-ad-format="fluid" data-ad-client="ca-pub-2780615577884595" data-ad-slot="4123678531"></ins> <script> (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({}); </script>

আরও জানা গেছে, এমআরসিপি পার্ট-২ এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৯৯৯ মার্কের উপর। তবে কারও কারও পরীক্ষার প্রশ্নের ধরনের উপর নির্ভর করে মার্ক যোগ করে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে তাঁদেরকে বোনাস মার্ক দেওয়া হয়। এমন ঘটনা এমআরসিপি পার্ট-২তে খুবই কমই ঘটে, বাংলাদেশের ডা. শরিফুল হালিমের ক্ষেত্রেও ঘটেছে দুর্লভ এ ঘটনা। বোনাস মার্কসহ তিনি পেয়েছেন ১২৫৫ নম্বর। এর আগে যুক্তরাজ্যের এমআরসিপি পার্ট-১ এর প্রকাশিত ফলাফলে ৯৯৯ এর মধ্যে ৯৩০ মার্ক পেয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন বাংলাদেশের এই কৃতি সন্তান।

অনুভূতি জানতে চাইলে ডা. শরীফুল হালিম বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। আমি রকম শুনছিলাম, এমন হতে পারে। সেটা আমার ক্ষেত্রে হবে, আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। এটি খুবই দুর্লভ একটি ঘটনা। আমার জন্য খুবই সারপ্রাইজ ছিল, ভালো লাগছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, খুবই সৌভাগ্যবান। আল্লাহ আমার উপর রহম করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার এ যাত্রায় পরিবার ও স্ত্রীর অবদান ছিল উল্লেখ করার মতো। তাদের সহযোগিতা ছাড়া এ পর্যন্ত আসা সম্ভব ছিল না। সেইসঙ্গে আমার শিক্ষকদের অবদান অতুলনীয়, এজন্য আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

ডা. শরিফুল হালিমের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ায়। তিনি কেন্দুয়ার ঐতিহ্যবাহী বেখৈরহাটী এন কে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

<script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-2780615577884595" crossorigin="anonymous"></script> <ins class="adsbygoogle" style="display:block; text-align:center;" data-ad-layout="in-article" data-ad-format="fluid" data-ad-client="ca-pub-2780615577884595" data-ad-slot="4123678531"></ins> <script> (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({}); </script>

বর্তমানে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইসিভিডি) ফেজ-বিতে রেসিডেন্ট (কার্ডিওলজি) হিসেবে অধ্যয়নরত আছেন ডা. শরীফুল হালিম। এনআইসিভিডির অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন উলুব্বি ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. আব্দুল মোমেনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে হৃদরোগে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন তিনি।

<script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-2780615577884595" crossorigin="anonymous"></script> <ins class="adsbygoogle" style="display:block; text-align:center;" data-ad-layout="in-article" data-ad-format="fluid" data-ad-client="ca-pub-2780615577884595" data-ad-slot="4123678531"></ins> <script> (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({}); </script>

সেইসঙ্গে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাও ডা. শরিফুল হালিম। তিনি মেডস্পারকল এডুকেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন ইউটিউবারও। ডা. শরিফুল হালিমের বাবা আব্দুল হালিম রঘুনাথপুর গারলস হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও মা আসমা আক্তার সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক। ডা. শরিফুল হালিম ব্যক্তিগত জীবনে দুই কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী তাজরিয়া আফরিনও একজন চিকিৎসক, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু বিভাগের রেসিডেন্ট।